প্রকাশিত: ১২/০৭/২০১৮ ৭:৩১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৫১ এএম

উখিযা নিউজ ডেস্ক::

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মালেক বলেছেন, প্রায় সময় শোনা যায়, রোহিঙ্গারা শিবির থেকে পালিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা ছড়িয়ে পড়ছে। এটি অত্যন্ত খারাপ খবর। কারণ তারা সুযোগ পেলে ক্ষতি করে বসবে। এতে করে সরকারের গৃহিত লাখো কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প ম্লান হয়ে যাবে। তাই রোহিঙ্গাদের বিচরণ শিবিরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এবং তাদের ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য এখনই কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে।
গতকাল বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজের মিলনায়তনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে কক্সবাজারের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। এতে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস রানা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তোফায়েল আহমেদ, এইচএম এরশাদ, সরওয়ার আজম মানিক, দীপক শর্মা দীপু, ফরহাদ ইকবাল, ইসমত আরা ইসু।
আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, উখিয়া-টেকনাফের কোন রোহিঙ্গা শিবিরে সীমানা প্রাচীর নেই। যার কারণে রোহিঙ্গারা সহজে ছড়িয়ে পড়ছে। শিবির বের হয়ে তারা বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এতে করে রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা শিবিরে সীমানা প্রাচীর বা কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া দরকার।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরে যেসব এনজিও সংস্থা কাজ করে তাদের প্রধান কার্যালয় শহরের মধ্যে। এনজিও সংস্থার গাড়ি গুলো চলাচলের কারণে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটির বেহাল অবস্থা হয়েছে। তীব্র যানজট লেগে থাকে। স্থানীয় জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই। তাই জরুরি ভিত্তিতে এটিকে চারলেনে উন্নীত করা দরকার।
ইসমত আরা ইসু বলেন, এক শ্রেণির মানুষ এবং গুটি কয়েক এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে বাজে ধারণা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এই স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচারের কারণে ইতোমধ্যে রোহিঙ্গাদের আচরণে সেই ধরণের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এই অপপ্রচার প্রতিষ্ঠা পেলে রোহিঙ্গারা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তাই এসব কঠোরভাবে দমন করা দরকার।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার শাখা থেকে সরকার বিরোধী ছাটাই করণ, পর্যটননগরীতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন, কলাতলী ডলফিন চত্বরের স্থাপিত শার্ক এর ভাস্কর্য সরানো, মেরিনড্রাইভ সড়কের উভয়পাশে বহুতল ভবন নির্মাণে বিধি-নিষেধ আরোপসহ বিভিন্ন বিষয়ে দাবী তোলা হয়।
তথ্য সচিব আব্দুল মালেক বলেন, কক্সবাজার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর এই জেলার প্রতি অন্যরকম দরদ রয়েছে। এখানে লাখো কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এই উন্নয়ন প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে। কিন্তু কোন অপশক্তি যাতে অপপ্রচার চালিয়ে এই উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।
এছাড়াও কক্সবাজারে সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প গুলো সাংবাদিকদের সারা দেশের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান তথ্য সচিব।

পাঠকের মতামত

২২ টি মোবাইল টীমের মাধ্যমে উখিয়ায় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রান্তিক

তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যে তাপমাত্রায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পায়। সেখানে ...

টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র পরিবার “আয়েশা” পেলেন মাথা গোছার নতুন ঠাঁই !

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখায়’ ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন সেমিপাকা ...